ওয়েব ডেস্ক: পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারসহ কমিশনের যেকোনো আইনি কার্যক্রমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এফবিআইয়ের দুই সদস্যের একটি টিম দীর্ঘ বৈঠক করে।
বৈঠকে পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারসহ কমিশনের যেকোনো আইনি কার্যক্রমে এফবিআইয়ের সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তাবটি উঠে আসে। বৈঠকে এফবিআইয়ের দুই সদস্যের টিমে ছিলেন এফবিআই অ্যাসিস্ট্যান্ট লিগ্যাল অ্যাটাশে রবার্ট জে. ক্যামেরন এবং পুলিশ লিয়াসন স্পেশালিস্ট মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। আর দুদকের মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. মোকাম্মেল হকের নেতৃত্বাধীন একটি টিম আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের বলেন, এফবিআইয়ের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনে এসেছেন। মূলত এটা একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। প্রতিনিধি দল কমিশনের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে। কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্তের সার্বিক কার্যক্রম তারা জানতে চেয়েছেন। কমিশন থেকে সেসব জানানো হয়েছে। যদি দুদকের কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তাহলে এফবিআই সহযোগিতা করবে।
অন্যদিকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, কমিশনের টিমের সঙ্গে এফবিআই টিমের প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তারা (এফবিআই টিম) দুদকের অনুসন্ধান, তদন্ত ও বিচার এ তিনটি প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। এছাড়া বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনা থেকে শুরু করে আইনিভাবে দুদককে কীভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে তারা দুদকের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নিয়েছে। এখন তারা তাদের আইনে কীভাবে দুদকে সহযোগিতা করা যায় তা দেখবে। সেই লক্ষ্যে তারা একটি প্রস্তাবনা দাখিল করতে পারে। পরবর্তীতে ওই প্রস্তাবনা এবং আমাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, এফবিআই টিমের সঙ্গে আলোচনার পর আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ নিজেদের মধ্যে বিশেষ সভা হতে পারে। সভায় দুদক ঠিক করবে ভবিষ্যতে আমরা কি ধরনের সাহায্য চাইব।